• শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে

জলদস্যু আক্রান্ত জাহাজ ট্রাকিং করছে নৌ বাহিনী

  • ''
  • প্রকাশিত ১২ মার্চ ২০২৪


তরিকুল ইসলাম সুমন:


ভারত সাগরে সোমালীয় জলদস্যু আক্রান্ত জাহাজের (এমভি আবদুল্লাহ) সকল নাবিক সুস্থ্য ও নিরাপদে রয়েছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ নৌবাহিনী আক্রান্ত জাহাজ ট্রাকিং করছে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মো. মাকসুদ আলম।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এম ভি আবদুল্লাহ। এর আগে এর নাম ছিল গোল্ডেন হক। জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপ। গতকাল দুপুর ১টায় জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ে। জাহাজে ২৩ নাবিক সুস্থ আছেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা যতটুকৃ জেনেছি জাহাজে বর্তমানে অস্ত্রসহ ১০০ জন জলদস্যু রয়েছে। জাহাজটি সমুদ্রে ভামমান অবস্থায় রয়েছে। ইতোমধ্যে নৌ বাহিনীকে বলা হয়েছে যাতে করে ‘এম ভি আবদুল্লাহ’ কে ট্রাকিংয়ের মধ্যে রাখতে এবং প্রতি চার ঘণ্টার পরপর সার্বিক অবস্থা জনাতে বলা হয়েছে। তাদের উদ্ধারে আন্তর্জাতিক যে প্রক্রিয়া ও কৌশল রয়েছে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম জানান, জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ঘটনাটি জানার পর তারা জাহাজের নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। এই জাহাজটি গত বছর সংগ্রহ করে কেএসআরএম গ্রুপ। ২০১৬ সালে তৈরি জাহাজটি লম্বায় ১৯০ মিটার। কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পর সাধারণ পণ্য পরিবহন করে আসছিল জাহাজটি।

নৌ পরিবহণ অধিদপ্তর জানায়, সোমালিয়া থেকে প্রায় ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে সমুদ্রে অন্তত ১০০ দস্যু জাহাজটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। ওই জাহাজে কর্মরত ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক দস্যুদের কাছে জিম্মি অবস্থায় রয়েছে। সমুদ্রগামী এ জাহাজটি কয়লা নিয়ে মোজাম্বিক থেকে দুবাই যাচ্ছিল। পথিমধ্যে গালফ অব ইডেনে জাহাজটিতে হামলা চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ নেয় দস্যুরা। তাদের অনেকের হাতে অস্ত্র রয়েছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নাবিকেরা নিরাপদে রয়েছেন। নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই পরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১১ সালে একই কোম্পানির এমভি জাহান মনি নামের আরেকটি জাহাজ দস্যুরা জিম্মি করেছিল। জাহাজে বাংলাদেশি ২৫ জন নাবিক ও প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রী ছিলেন। সে সময় সোমালিয়ার উপকূলীয় গ্রাম গারাকাডের কাছাকাছি জাহাজটি নোঙর করে রেখেছিল জলদস্যুরা। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়য়ের সহায়তায় মুক্তিপণ দিয়েই জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করা হয়েছিল।

২০১০ সালের ৮ মে আরব সাগরের গালফ অব এডেনে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে জার্মান অয়েল ট্যাংকার মারিডা মারগারিটা। জাহাজের ২২ ক্রুর দুজন ছিলেন বাংলাদেশি। তাঁদের একজন সে সময়ের প্রধান কর্মকর্তা জাফর ইকবাল, অন্যজন দ্বিতীয় প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন আজম খান। প্রায় সাড়ে সাত মাস জিম্মি থাকার পর ওই বছর ২৮ ডিসেম্বর তাঁরা মুক্তি পান।

 

/মামুন

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads